নিজস্ব প্রতিনিধি,শ্রীরামপুর- সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা মাথায় রেখে হাসপাতালটা শুরু করেছিলেন ঠিকই। কিন্তু শুরুর মাস ছ’য়েক পরই মৃত্যু হয় হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতার, তারপর বছর ছ’য়েক পর থমকে যায় হাসপাতালের পথ চলা। গত বছর ১লা জুলাই থেকে পুনরায় সেই হাসপাতালের দরজা খুলেছে। দিল্লী রোডের ধারে শ্রীরামপুর নওগার মোড়ে গত ২০০২সালে মনিকমল হাসপাতালের পথচলা শুরু হয় শ্রীরামপুরের উদ্যোগপতি স্বরাজ মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে। কিন্তু হাসপাতাল চালুর মাস ছ’য়েক পরই মৃত্যু হয় স্বরাজবাবুর। তাঁর স্ত্রী ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়ের অদম্য প্রচেষ্টায় ২০০৮সাল পর্যন্ত হাসপাতাল চালু থাকলেও সঠিক পরিচালকের অভাবে সেবছরই হাসপাতালের দরজায় তালা পরে। ২০১৫সাল থেকে পুনরায় ইন্দ্রানীদেবী স্বামীর হাতে গড়া হাসপাতাল খুলতে উদ্যোগী হন। কিন্তু তার কয়েক বছর পর চলে আসে করোনা মহামারী। যদিও হাসপাতাল খোলার প্রচেষ্টা কিন্তু চালিয়ে যান ইন্দ্রানীদেবী। সেই ইচ্ছাশক্তির জোরেই গত বছর ১লা জুলাই প্রবাদপ্রতিম চিকিৎসক বিধানচন্দ্র রায়ের জন্ম ও মৃত্যুদিবস অর্থাৎ ডক্টর’স ডে’র দিন এই হাসপাতালের দরজা পুনরায় খোলে।
এবছর ১লা জুলাই রথযাত্রা থাকায় রবিবার পুনরায় দ্বারোদঘাটনের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হল। এই উপলক্ষ্যে রাজ্যের স্বনামধন্য চিকিৎসকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন চাঁপদানির বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন, বৈদ্যবাটি পুরসভার পুরপ্রধান পিন্টু মাহাতো, শ্রীরামপুরের পুরসভার পুরপ্রধান গিরিধারী সাহা, পুর পারিষদ পিন্টু নাগ সহ বহু বিশিষ্টরা। দিনভর চিকিৎসা বিষয়ক সেমিনার সহ হাসপাতালের উন্নয়ন কল্পে আলোচনা চলে।
হাসপাতালের বর্তমান কর্ণধার ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায় বলেন পুরনো সমস্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে গেছে। সিটি স্ক্যানের যন্ত্রটি ছাড়া নতুন করে সমস্ত সরঞ্জাম কিনতে হয়েছে। তাই সময়টাও অনেক লেগেছে। এখানে ট্রমা, ডায়ালিসিস, সাধারন অস্ত্রপচার, প্যাথলজি সহ বহু সুবিধাই মিলবে। শুরু থেকে স্বরাজবাবুর সাথে থাকা চিকিৎসক বিপ্লব দেব বলেন আশা করছি আমরা আগামী দুবছরের মধ্যে স্বরাজবাবুর স্বপ্ন পূরণ করতে পারবো। আপতত সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর হয়েছি। হাসপাতালের উন্নয়নে পাশে থাকার আশ্বাস দেন বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন।
Views: 1704