নিজস্ব প্রতিনিধিচুঁচুড়া- ছেলেবেলা থেকেই তার স্বপ্ন নতুন কিছু আবিষ্কার করা অবশেষে সেই স্বপ্ন সফল হল চুঁচুড়ার নবম শ্রেণীর ছাত্র অভিজ্ঞান কিশোর দাসের। হুগলি কলেজিয়েট স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র অভিজ্ঞান ছেলেবেলা থেকেই বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স জিনিস আবিষ্কার করার পাশাপাশি কোভিড পরিস্থিতিতে বাড়িতে গৃহবন্দি থাকার সময় নতুন কিছু আবিষ্কারের চেষ্টায় ব্যস্ত ছিল, তারপর আবিষ্কার করে ফেললো”টাচ ফ্রী পোর্টেবল অটোমেটিক হ্যান্ড স্যানিটাইজ সিস্টেম”।মূলত এই সিস্টেমে দুটি হাত সামনে নিয়ে এলে অটোমেটিক ভাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার হাতে আসবে পরিষ্কারের জন্য। মূলত একটি হাতে রয়েছে ম্যাগনেট, অন্য হাতে রয়েছে সেন্সার ঘড়ি এবং কোমরের কাছে রয়েছে স্যানিটাইজার ব্যাগ, যার সাথে সংযোগ রয়েছে একটি পাইপ। দুটি হাত কাছাকাছি এলেই সেন্সর এবং ম্যাগনেটের সংযোগে পাইপের মাধ্যমে স্যানিটাইজার হাতে চলে আসবে অর্থাৎ আলাদাভাবে কোন বোতল কিংবা অন্য কোন কিছু ব্যবহার করতে হবে না। এবং এই প্রকল্প তৈরির পর পেটেন্ট পেতে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হয় তার পরিবার,অবশেষে গত মঙ্গলবার তার সেই অবিস্কারককে স্বীকৃতি দিল কেন্দ্র। স্বাভাবিকভাবেই খুশি অভিজ্ঞান জানায় সে চাই কেন্দ্র কিংবা রাজ্য সরকার অথবা কোন কোম্পানি এটাকে বাণিজ্যিক রূপ দিক তাহলেই তার চেষ্টা সফল হবে। অভিজ্ঞানের মা প্রিয়াঙ্কা দাস জানান এত তাড়াতাড়ি পেটেন্ট পাবে তা আমরা আশা করিনি তবে খুব ভালো লাগছে।আমরা চাই সরকার এগিয়ে আসুক যাতে এটা সাধারণ কাজে লাগলে আমি আমাদের স্বপ্ন পূরণ হবে।।তাদের এই কাজে সহযোগিতা করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের কর্মী মহুয়া হোম চৌধুরী।যিনি পশ্চিমবঙ্গের জন্য রসগোল্লার পেটেন্ট ছিনিয়ে এনেছিলেন।তিনি জানান এই দপ্তরের মন্ত্রী রত্না দে নাগ এই ধরনের আবিষ্কারের বিষয় খুবই উৎসাহিত করে, তারি প্রচেষ্টায় আমরাও চেষ্টা করি নতুন প্রতিভারা যাতে সঠিক ভাবে সন্মান পায় তার ব্যবস্থার। এত অল্প বয়সে অভিজ্ঞানের এই আবিস্কারের পেটেন্ট মেলায় খুশি স্থানীয়রা।
Views: 186