নিজস্ব প্রতিনিধি,কামারপুকুর-ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ দেবের জন্মস্থান কামারপুকুর, যিনি মা কালীর পুজোর আরাধনাতেই সারাদিন ব্যস্ত থাকতেন। তারই জন্মস্থানে আনুমানিক ৩০০ বছর আগে বৈদ্য বাড়িতে শুরু হয় মা কালীর আরাধনা। যে দেবীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য কালীপুজোর দিন দেবী মূর্তির পা শিকলে বাঁধা থাকে, কিন্তু কেন এই নিয়ম তা সঠিক ভাবে জানা না গেলেও কথিত আছে এই দেবীর পুজো শুরু হবার হবার পর থেকেই মন্দিরে আলতা ও নুপুর পড়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। পরিবারের সকলে এই নিয়ম মেনে চললেও একবার এক গৃহবধূ এই নিষেধ উপেক্ষা করেই মন্দিরে পুজো দিতে ঢুকেছিলেন কিন্তু আর বেরিয়ে আসেনি। কোথায় হারিয়ে যায় তাও কেউ জানতে পারেনি তবে তিনি যে শাড়ি পড়ে পুজো দিতে মন্দিরে ঢুকেছিলেন সেই কাপড়ের খুঁট কালী মায়ের মুখে দেখা গিয়েছিল। সেদিনের পর থেকেই এই মন্দিরে আলতা এবং নূপুর পড়ে আর কেউ প্রবেশ করে না এবং তারপর থেকেই নাকি মায়ের পায়ে এই শিকল বাঁধার রীতি চলে আসছে। পরিবারের সদস্য অতীশ সেনগুপ্ত জানান এই পরিবারের সাথে ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ দেবীর স্মৃতি জড়িয়ে আছে, শোনা যায় ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ দেব এই পুজোতে আসতেন একই সাথে জানা যায় শ্রী রামকৃষ্ণ দেবের গৃহ চিকিৎসক ছিলেন তাদেরই পরিবারের পূর্বপুরুষরা। স্বাভাবিকভাবেই লোকমুখে যতই প্রচার বেড়েছে ততই মাহাত্ম্য বেড়েছে এই পুজোর।পুজোর অনান্য নিয়মের সাথেই এখনো এই পুজোয় বলি প্রথা চালু রয়েছে পাশাপাশি প্রাচীন নিয়ম মেনেই রাতের মধ্যেই পূজা সম্পন্ন করতে হয় যদিও এবারে করোনা পরিস্থিতিতে কারণে অন্যান্য অনুষ্ঠান বন্ধ থাকলেও পুজোর প্রাচীন রীতি নিয়ম মেনেই এই পুজো করতে এখন ব্যস্ত পরিবারের সদস্যরা।
Views: 352