নিজস্ব প্রতিনিধি, শেওড়াফুলি-একটা সময় হুগলি জেলা তৃনমূল সংগঠনের অন্যতম নিয়ন্ত্রণ শক্তি ছিল হুগলির শেওড়াফুলি, দীর্ঘদিন বাদে সেই ধারা ফিরল শেওড়াফুলিতে। তৃণমূলের হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিকের নতুন সভাপতি হলেন চাঁপদানির বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন l জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তীর স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি। তেমনই হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলাবেন ধনেখালির বিধায়িকা অসীমা পাত্র এবং তৃণমূলের আরামবাগ সাংগঠনিক সভাপতি হিসাবে তারকেশ্বরের বিধায়ক রামেন্দ্রু সিংহ রায় ও চেয়ারম্যান জয়দেব জানা। যদিও একটা সময় জেলা তৃনমূলের অন্যতম নিয়ন্ত্রণ শক্তি ছিল হুগলির শেওড়াফুলি, প্রবাদপ্রতীম নেতা আকবর আলি খন্দকারের বাড়ি ও কার্যালয় ছিল এই শেওড়াফুলির ছাতুগঞ্জে, যে কার্যালয় থেকেই নিয়ন্ত্রণ হতো হুগলি জেলার তৃণমূলের সংগঠন।

প্রাক্তন সাংসদ আকবর বাবুর মৃত্যুর পর তৃনমূলের জেলা সংগঠনের শক্তি হয়তো বৃদ্ধি পেলেও ফাটল বেড়েছে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে, দীর্ঘদিন বাদে সেই আকবর আলী খন্দকারের অন্যতম শিষ্য শেওড়াফুলির অরিন্দম গুঁইনের উপর আস্থা রাখল দল, সোমবার হুগলি- শ্রীরামপুর সাংগঠনিক তৃণমূলের নতুন সভাপতি হিসাবে ঘোষিত হলো তাঁর নাম স্বাভাবিকভাবেই জেলা তৃণমূল কর্মীরা যথেষ্ট উচ্ছসিত। যদিও এটা নতুন নয় গত কয়েক বছর ধরেই অরিন্দম গুইনের ওপর আস্থা রাখছে দল তাই কাউন্সিলর থেকে পুরপ্রধান, তারপর জেলা যুব সংগঠনের সভাপতির দ্বায়িত্ব পালনের পর গতবছরই চাঁপদানি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হন তিনি স্বাভাবিকভাবেই ফের বড় দায়িত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত গুঁইন,তিনি জানান বাংলা জুড়ে মমতা ব্যানার্জি যা উন্নয়ন করেছে সেই পথেই দলীয় অন্যান্য সংগঠনগুলোকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে একই সাথে তিনি জানান আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোন সমস্যা হবে না।

পাশাপাশি তাঁর দাবী বিরোধী দল যতই বিরোধিতা করুক কোন প্রভাব ফেলতে পারবে না তেমনই আর্থিক দুর্নীতির ঘটনাতেও কোন প্রভাব পড়বে না কারণ মমতা ব্যানার্জির স্বচ্ছ ইমেজ এখনো বজায় রয়েছে,তাই মমতা ব্যানার্জির ছবি এবং জোড়া ফুল দেখেই মানুষ আগামী দিনে ভোট দেবে l একটা সময় জেলা তৃণমূল কর্মীদের মেলবন্ধনে আকবর আলি খন্দকারের যে উজ্জ্বল ভূমিকা তৈরি হয়েছিল, শেওড়াফুলির সেই অরিন্দম গুইনের নতুন দায়িত্ব জেলা তৃণমূলকে কতটা শক্তিশালী করবে তা হয়তো সময় বলবে।

Views: 496