নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলি- অভাবের তাড়নায় একদিন সাইকেল নিয়েই শুরু হয়েছিল দক্ষিন ২৪পরগনার বারুইপুরের সত্যেন দাসের সফর। ৯০এর দশকে সাইকেল সহযোগে হয়েছিলদার্জিলিং থেকে পুরী যাত্রা। এরপর ১৯৯৫ সালে সাইকেল করে সমগ্র দেশ ভ্রমন করেন সত্যেন। তবে সেইসমস্ত ভ্রমনের উদ্দেশ্য ছিলো দারিদ্র দূরীকরনেরবার্তা দেওয়া। পাশাপাশি নিজের দারিদ্র মেটানোর প্রবল ইচ্ছাও ছিলো তার । তাই একটু বেশী রোজগারের আশায় বারুইপুর ছেড়ে দক্ষিন কোলকাতার নাকতলা গীতাঞ্জলি থেকে পায়ে টানা রিক্সা চালানো শুরু করেন তিনি। আর পাঁচটি মফঃস্বলের রিক্সাচালকদের তুলনায় রোজগারও বাড়ে সত্যেনের। সেই রোজগারের ভরসায় ২০০৩সালে বিবাহ বদ্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। সাইকেলে বেড়ানোর অভ্যাসটা ছিলো, ইচ্ছাও ছিলোআর্থিক দিক থেকে স্বচ্ছল হওয়ার। সেই ইচ্ছাতেই সত্যেনের রিক্সার চাকাও অন্যান্য রিক্সার চাকার থেকে বেশী ঘুরতে শুরু করে। ফলে রিক্সাস্ট্যান্ডেও ব্যাতিক্রমী মুখ হয়ে ওঠে সত্যেন। সেই ব্যাতিক্রমী পরিচয়েই ২০০৭ সালে স্ত্রী ও আড়াই বছরের মেয়েকে নিয়ে রিক্সা সহযোগে সত্যেনের প্রথম পারিবারিক ভ্রমন। গন্তব্যস্থল ছিলো পুরী। পরিবার নিয়ে সুষ্ঠভাবেই সেই ভ্রমনযাত্রা সফল করেন সত্যেন। আর সেই যাত্রা থেকেই বিশিষ্ট নাগরিকদের সান্নিধে আসা। যাদের থেকে বিশ্ববাসীর সমস্যার কথা সম্পর্কে অবগত হওয়া। এরপর ভ্রমন জারি রাখেন সত্যেনবাবু। কিন্তু ভ্রমনের উদ্দেশ্য বদলে যায়। ২০১৩ সালে বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে সমাজকে বার্তা দিতে কোলকাতা থেকে লাদাখ রিক্সা সহযোগে যাত্রা করেন সত্যেনবাবু। আর এবারে সেই রিক্সা নিয়েই সুদুর সিয়াচেনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তিনি। গত রবিবার কোলকাতার বাইকারস ক্লাবের উদ্যোগে নিউটাউন থেকে সেই যাত্রার সুচনা করেন মন্ত্রী সুজিত বসু। এবারে সত্যেন বাবুর যাত্রার উদ্দেশ্য জল বাঁচাও, প্রকৃতি বাঁচাও! বুধবার হুগলীর জি টি রোডের উপর দিয়ে তার রিক্সা এগিয়ে গেলো সিয়াচেনের পথে। তারএই যাত্রা সফল হোক এটায় প্রার্থনা স্থানীয়দের।
Views: 107