নিজস্ব প্রতিনিধি, শ্রীরামপুর- কোভিড সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউে বিপর্যস্ত বাংলা। প্রতিদিন সংক্রমণ যেমন বাড়ছে,তেমনিই বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে শনিবার নবান্ন থেকে মুখ্যসচিব ঘোষণা করেন আগামী ১৫ দিন বাংলায় লকডাউন থাকবে। দুপুরের এই ঘোষণার পরে শ্রীরামপুরের দুটি ছবি বাংলার প্রবাদ কে মনে করিয়ে দিয়েছে। কারো পৌষ মাস আবার কারোর সর্বনাশ…। যেমন শনিবার দুপুরে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় অসুস্থ রবি কর্মকার কে নিয়ে শ্রীরামপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য জায়গা খুঁজছেন তার আত্মীয়রা,অনেক চেষ্টা করেও মেলেনি জায়গা। আবার একই সময়ে শেওড়াফুলি থেকে আসা সুনীল রায়ও শ্রীরামপুরের বিভিন্ন দোকানে বিদেশী মদ খুঁজে বেড়াচ্ছেন,অনেক কষ্টে এক বোতল জোগাড় হলেও তিনি রীতিমত চিন্তিত বাকী লকডাউনের দিনগুলে কিভাবে চালাবেন। যদিও শুধু সুনীলবাবু নয়,তার মত অনেকেই শ্রীরামপুরের মদের দোকান গুলিতে দুপুরের পর থেকে ভিড় করেছেন,তাই শ্রীরামপুর পাঁচু বাবুর লাগোয়া মদের দোকানে নির্ধারিত রাত্রী ৭ টার পরেও ছিল ক্রেতাদের লম্বা লাইন। রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে বিক্রেতাদের।দোকানে আর মাল নেই জানিয়ে বিক্রেতা দোকান বন্ধ করতে চাইলে শুরু হয় বচসা। খটির বাজার থেকে আসা বিনোদ দাস জানান দুপুর থেকে লাইন দিয়েছি মদ কেনার জন্য কিন্তু দোকানের ভেতরে পৌঁছাতে না বলাতে মাথা গরম হয়ে যায়। ভিড়ের মধ্যে এক ক্রেতা দাবী করেই বসে সরকার জরুরি পরিষেবায় ছাড় দিয়েছে সেক্ষেত্রে এই দোকানের কথা ভাবা উচিত ছিল। কারোর দাবী গত একবছর করোনা পরিস্থিতিতে দিব্যি আছি, কোন সমস্যা নেই। যদিও দোকানের সামনে যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেখানে ছিল না সামাজিক বিধিও। সারা বাংলার বিভিন্ন হাসপাতালগুলিতে যখন কোভিড আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি করাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ,সেই পরিস্থিতিতে মদের দোকান গুলিতে ক্রেতাদের এই ভিড় রীতিমতো প্রশ্ন তুলছে মানুষের মানবিকতা নিয়ে…
Views: 2888