শান্ডিল্য, শ্রীরামপুর-পুরপ্রধানের ঘরে প্রধান ব্যক্তির চেয়ারের মাথার উপর জ্বলজ্বল করছে শ্রীরামপুরের রূপকার কেষ্ট মুখোপাধ্যায়ের ছবি। বৃহস্পতিবারই প্রয়াত কেষ্টবাবুর ৮০তম জন্মদিবস পালিত হয়েছে। সেই ছবির নিচেই রয়েছে পাশাপাশি ৩ টি চেয়ার। একটি চেয়ার এই পুরসভার দীর্ঘদিনের পুরপ্রধান কেষ্ট মুখোপাধ্যায়ের, আরেকটি চেয়ার কেষ্টবাবুর ভাই সদ্য বিদায়ী পুরপ্রধান অমিয় মুখোপাধ্যায়ের এবং এই দুই চেয়ারের মাঝে থাকা নতুন চেয়ারে বসে যাত্রা শুরু করলেন শ্রীরামপুরের নতুন পুর প্রশাসক গৌরমোহন দে। গত মঙ্গলবার সকালে রাজ্য সরকারের পুর নগরোন্নয়ন দপ্তরের আসা এক বার্তায় জানা যায় মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভার দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে পুরপ্রশাসক মন্ডলীর সদস্য থাকা গৌরমোহন দে কে এবং এই বার্তা আসার পরেই শ্রীরামপুর পুরএলাকায় জন্ম নিয়েছে নতুন রাজনৈতিক জল্পনা।যদিও সরকারী নির্দেশ মতোই বুধবার সকালেই পুরসভায় এসে গৌরমোহন দে কথা বলেন পুর কর্মীদের সাথে এবং তারপর বৃহস্পতিবারই আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রীরামপুর পুরসভার নতুন পুর প্রশাসকের দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন তিনি। পুর প্রধানের ঘরে থাকা দুই প্রাক্তন পুরপ্রধানের চেয়ার কে সম্মান জানিয়ে শুরু হলো তাঁর এই নতুন যাত্রা। পুরকর্মীদের পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শুভানুধ্যায়ীদের ফুলের তোড়ায় অভিনন্দন গ্রহন করলেন তিনি। প্রশাসক গৌরমোহন দে জানান তাঁর প্রথম কাজ হবে কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেই শহরে ডেঙ্গু কে নিয়ন্ত্রণ করা পাশাপাশি পরিস্রুত পানীয় জল, গঙ্গার পাড়ের সৌন্দর্যায়ন,রবীন্দ্র ভবনের উন্নয়ন, শ্রীরামপুর স্টেডিয়াম উন্নয়ন সহ পুরবাসীদের চাহিদামত উন্নয়ন করা যদিও এই পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের সুমঙ্গল সিং জানান উনি দীর্ঘদিন পুর পরিচালনার বিভিন্ন বিভাগের দ্বায়িত্বে থাকলেও হয় নি পুরএলাকার প্রধান সমস্যা নিকাশী ব্যবস্থার উন্নয়ন ,সমাধান হয়নি এই কাজের সাথে যুক্ত থাকা কর্মীদের সমস্যা, তেমনই হয় নি দীর্ঘদিনের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বকেয়া টাকা দেওয়ার পরিকল্পনা , হয়নি ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি জলপ্রকল্পের সূচনা, অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের বকেয়া টাকা পরিশোধ করা। ওনার উচিত আগে এই বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা। বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক সভাপতি শ্যামল বসু জানান প্রতিশ্রুতি নয় আমরা চায় উনি পুরবাসীদের উন্নয়নে কাজ করুক। স্বাভাবিকভাবেই নতুন পুর প্রশাসকের বার্তায় পুরবাসীর জীবনযাত্রায় কোন পরিবর্তন আসে কিনা তারই অপেক্ষায় এখন স্থানীয়রা।
Views: 1447