নিজস্ব প্রতিনিধি-বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো, কালীপুজোর পরে আসে জগদ্ধাত্রী পুজো এবং জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই হুগলির চন্দননগর। একদিকে আলোর শহর অন্যদিকে বড় প্রতিমা দেখার আকর্ষণে দূর দুরান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থী ছুটে আসে এই শহরে। যদিও সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সেই শহরের পুজো বিপর্যস্ত হলেও এবারে ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী। আগামী ৩০ শে অক্টোবর ষষ্ঠী এবং তার আগে শুক্রবার চতুর্থীর সন্ধায় সূচনা হলো পুজোর গাইড ম্যাপের, যার আনুষ্ঠানিক সূচনা হল মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন জেলাশাসক দীপাপ্রিয়াপি, পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভেলগির উপস্থিতিতেl গত দু’বছর করোনা পরিস্থিতির পর এবছর দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়বে আশঙ্কা করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছেlএকদিকে প্রচুর সংখ্যক পুলিশকর্মীর পাশাপাশি সিসিটিভি,ড্রোন এবং প্রচুর সংখ্যক পুলিশ বুথের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভেলগি বলেন সার্বিক সুষ্ঠুভাবে পুজো সম্পন্ন করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে l চন্দননগর, মানকুন্ডু ও ভদ্রেশ্বর মিলিয়ে ১৭১ টি পুজো হয়ে থাকে। মূলত থিম ভাবনা এবং সাবেকিয়ানার প্রতিমায় সেজে উঠছে চন্দননগরের বিভিন্ন পুজো। যে দেবীর আরাধনায় এবারে আলো ও প্রতিমায় অধিকাংশ পুজোয় থাকছে বাড়তি আকর্ষণ, তাই সুষ্ঠু ও শান্তি পূর্ণভাবে পুজো সম্পন্ন করতে তৎপর চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগধাত্রী পুজো কমিটির পাশাপাশি চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের কর্মীরা। চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ সাউ জানান গত দুবছর সংক্রমণ পরিস্থিতির পর এবারে জগদ্ধাত্রী পুজো সাজবে নতুন সাজে।
একদিকে উন্নত মানের আলোকসজ্জার পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব মন্ডপে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে একই সাথে এবারের চন্দননগরের বিসর্জনের শোভাযাত্রা সর্বকালের সেরা হতে চলেছে, তাই রেকর্ডকালীন ভিড় হবার আশঙ্কায় পুজো কমিটিগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। চন্দননগর নতুন পাড়া জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সভাপতি জয়দ্বীপ ভট্টাচার্য জানান পুজো পুরনো ছন্দে ফেরায় তারা খুশি, এ বছর তাদের থিম ভাবনা পুরুলিয়ার ছৌ শিল্প, স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে পূজোর তৎপরতা। স্থানীয় বাসিন্দা চৈতালি ব্যানার্জি জানান সারা বছর অপেক্ষা থাকি পুজোর এই দিনগুলোর জন্য, এবারে আগের চেহারায় পুজো ফেরায় ভালো লাগছে।এখন তারই ব্যস্ততায় হুগলির চন্দননগর।
Views: 35