নিজস্ব প্রতিনিধি শ্রীরামপুর-ঠিক এক বছর আগে বিশ্বজুড়ে কোভিড সংক্রমণে তাহি তাহি রব ওঠে বিশ্বজুড়ে।একই অবস্থা হয় এই বাংলার হুগলী জেলাতেও। সেই সময় চিকিৎসায় কোভিড হাসপাতালে হিসাবে জেলার অন্যতম ভূমিকা পালন করে শ্রীরামপুরের শ্রমজীবী কোভিড হাসপাতাল। তাদের দাবি গত এক বছরে প্রায় দুই হাজারের বেশি রোগীকে সুস্থ করে বাড়ী পাঠিয়েছে যদিও তাদের অভিযোগ করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই তাদের হাসপাতাল সাধারন চিকিৎসাইয় ফিরে আসে কিন্তু কোভিড চিকিৎসার প্রয়োজনীয় বকেয়া টাকা পরিশোধ করেনি সরকার, তাই চরম সমস্যার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে এই হাসপাতাল। যদিও নতুনভাবে করোনা সঙ্ক্রমন ফের ঊর্ধ্বমুখী হওয়াতে সরকার এখনও কোন প্রস্তাব না দিলেও তাদের নিজেদের উদ্যোগেই হাসপাতালে একটা অংশে ফের শুরু হয়েছে কোভিডের চিকিৎসা, কিন্তু সেই চিকিৎসার জন্য প্রচুর খরচের প্রয়োজনে গত কয়েকদিন আগে হাসপাতালের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে আবেদন করা হয় সহযোগিতার জন্য। তাদের সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে শ্রীরামপুরের এক সমাজসেবী সমীরণ ঘোষ এগিয়ে আসেন। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে সহ সম্পাদক গৌতম সরকারের হাতে ৫ লক্ষ টাকার একটি চেক তুলে দিলেন। সমীরণ বাবু জানান বিগত এক বছর ধরে শ্রমজীবী হাসপাতাল কোভিড রোগীদের জন্য যেভাবে চিকিৎসা করছে তার জন্য তাদের কুর্নিশ জানাই,ফের নতুনভাবে সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তাই পাশে থাকতেই এই সহযোগিতা। হাসপাতালে সহ সম্পাদক গৌতম সরকার জানান সমীরণ বাবুর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ তার এই সহযোগিতার জন্য। গত এক বছর আমাদের সহকর্মীদের প্রচেষ্টায় বহু করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন, নতুনভাবে সংক্রমণ বাড়ায় সরকার কোনো প্রস্তাব না দিলেও আমাদের নিজেদের উদ্যোগেই কাজ শুরু করে দিয়েছি কোভিডের চিকিৎসা। আমাদের লক্ষ্য ন্যূনতম খরচে রোগীদের পরিষেবা দেওয়া। তারই প্রয়োজনে সাধারণ মানুষের এই সহযোগিতায় আমাদের মনোবল আরো বাড়াতে সাহায্য করবে।
Views: 1683