নিজস্ব প্রতিনিধি,চন্দননগর- বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনার মধ্য দিয়েই বহু প্রতিক্ষিত চন্দননগর পুরনিগম নির্বাচনের ভোট প্রক্রিয়া সমাপ্ত হলো। মোট ৩৩টি ওয়ার্ড হলেও ১৭নম্বর ওয়ার্ড বাদে ৩২টি ওয়ার্ডের নির্বাচন হলো শনিবার। বাদ যাওয়া ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী গোকুল পাল প্রয়াত হওয়ায় আপাতত সেই ওয়ার্ডে ভোট স্থগিত রাখা হয়েছে। শনিবার সকাল ৭টা থেকে নির্বাচন শুরু হয়। পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী রাজ্য পুলিশই এই ভোটের নিরাপত্তার দায়ভার গ্রহন করে। সকালে মক পোল মিটতেই ৩২টি ওয়ার্ডের ১৭৩টি বুথে নির্বাচন শুরু হয়। মোট ১২১জন প্রার্থী রয়েছেন এবার চন্দননগরের পুর নির্বাচনে। সকালেই চন্দননগরের ৫নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ জ্যামের অভিযোগ তোলে বিজেপি। যদিও কিছুক্ষন পরই পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। একইভাবে ৬নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের মহিলা প্রার্থীর সাথে সিপিএম ও নির্দলের মহিলা প্রার্থীদের মধ্যে চরম বচসার সৃষ্টি হয়। এখানেও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বিজেপির ১২ও ২৭নম্বর ওয়ার্ডের দুই মহিলা প্রার্থীকে তৃণমূল মারধর করে বলে অভিযোগ তোলে ভারতীয় জনতা পার্টি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন দুপুর তিনটে নাগাদ তাঁরা চন্দননগর মহকুমা শাসক দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তাদের অভিযোগ দিনভর বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে তৃণমূল বুথ জ্যাম, ভোটারদের প্রভাবিত করেছে। সিপিএমের হুগলী জেলা কমিটির সম্পাদক পিনাকী চক্রবর্তী কিংবা কংগ্রেসের প্রদেশ নেতা প্রীতম ঘোষের অভিযোগ শাসক দলের কর্মীরা সর্বদা সুষ্ঠ ভোটদানে বাঁধা দিয়েছে। বিজেপির হুগলী সাংগঠনিক জেলা কমিটির যুব সভাপতি সুরেশ সাউ বলেন চন্দননগরের এই নির্বাচনে তৃণমূল সন্ত্রাস করেছে। যদিও এদিন বিরোধীদের ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের পক্ষে রাজ্যের রাজ্যেরমন্ত্রী তথা চন্দননগরের বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন বলেন চন্দননগরে সর্বত্র সুষ্ঠভাবেই নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী এদিন চন্দননগরের ১৭৩টি বুথে মোট ৭৪.১৭শতাংশ ভোট পরেছে।
Views: 98