নিজস্ব্ব প্রতিনিধি,চুঁচুড়া-সাধারন মানুষের তিনি প্রতিনিধি,তাদের জন্য তার লড়াই। এমন কেউ নেই যেতাকে হারাতে পারে, দাবী করলেন বলাগড় বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মনোরঞ্জন ব্যাপারী।শুক্রবার তিনি চুঁচুড়ার পিপুলপাতি থেকে পায়ে টানা রিকশা চালিয়ে চুঁচুড়ায় মহকুমা শাসকের দপ্তরে গিয়ে তিনি মনোনয়ন পত্র জমা দেন। একটা সময় তিনি রিক্সা চালাতেন, স্টেশনে শুয়ে দিনের পর দিন রাত কাটিয়েছেন।একাধিকবার জেলেও গেছেন, জেলে বসেই তাঁর বাংলা অক্ষর জ্ঞান। পুঁথিগত বিদ্যা তাঁর নেই। তবুও সেখান থেকেই একের পর এক বই লিখেছেন। ঝুলিতে রয়েছে বাংলা অ্যাকাডেমি পুরষ্কার সহ নানাবিধ সন্মান। মনোরঞ্জনের কথায় রিক্সা চালাতাম, মদ খেতাম, মারপিট করতাম কিন্তু বই পড়তাম। জেলখানা থেকে বর্নপরিচয় পাওয়া মনোরঞ্জন বই পড়তে পড়তেই বই লেখা শুরু করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগেই তিনি দলিত সাহিত্য অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান পদে আসীন হন। আর ২১-এর নির্বাচনে সরাসরি দিদির সৈনিক হয়ে ভোট ময়দানে তিনি। বর্তমানে নদীয়া জেলার চাকদহের বাসিন্দা হলেও গঙ্গার ওপারে অবস্থিত হুগলী জেলার বলাগর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিট পেয়েছেন তিনি।যে বলাগড়ে দলের চরম গোষ্ঠীকোন্দল একাধিকবার প্রকাশ্যে এসেছে।টিকিট না পাওয়ার বলাগড়ে তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য তথা হুগলী জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি সুমনা সরকার মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। কিন্তু সেসবে গুরুত্ব দিতে নারাজ মনোরঞ্জনবাবু। শুক্রবার বলাগড়ের বিদায়ী বিধায়ক অসীম মাঝি, তৃণমূল নেতা শ্যামাপ্রসাদ রায় ব্যানার্জীর সাথে চুঁচুড়ায় এসে মনোনয়ন জমা দিলেন মনোরঞ্জন। হার না মানা মনোরঞ্জন বাবুর দৃঢ়কন্ঠে জবাব তার কেন্দ্রে তিনিই জিতছেন।
Views: 23