নিজস্ব প্রতিনিধি শ্রীরামপুর-স্ত্রীর কয়েক দিন ধরে জ্বর, গা হাত পা যন্ত্রণা। সন্দেহ হওয়ায় তার করোনা পরীক্ষা করলে রিপোর্ট আসে পজেটিভ। বর্তমানে তিনি ব্যান্ডেলের ইএসআই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্ত্রীর পজিটিভ হওয়ার তড়িঘড়ি শ্রীরামপুর বটতলার বাসিন্দা পেশায় ব্যাঙ্ক আধিকারিক গোবিন্দ সাধুখা তার মেয়ে দীপান্বিতাকে সাথে নিয়ে গত ১৫ ই এপ্রিল শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে যায় করোনা পরীক্ষার জন্য। গোবিন্দ বাবুর অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের নাম নথিভুক্ত করে পরের দিন অর্থাৎ ১৬ তারিখে আসতে বলেন কিন্তু ১৭ তারিখে ভোটের ডিউটি থাকায় তিনি ১৬ তারিখ যেতে পারেননি।তারপর মেয়েকে সাথে নিয়ে তিনি ফের ১৯ তারিখে হাসপাতালে যান, তার দাবি এদিনও তার নাম নথিভূক্ত হলেও টেস্টের জন্য পরের দিন আসতে বলেন কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় ২০ তারিখ স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে তার মোবাইলে একটি রিপোর্ট আসে সেই রিপোর্ট অনুযায়ী অনুযায়ী জানতে পারেন তিনি ও তার মেয়ে দুজনেই পজেটিভ যদিও ২২ তারিখ ফের একটি রিপোর্ট আসে,তাতে তাদের রিপোর্ট হয় নেগেটিভ। গোবিন্দ বাবুর অভিযোগ কিকরে সম্ভব, যখন তাদের কোন টেস্ট হল না সেখানে এই রিপোর্ট কিভাবে? সঠিক তথ্যের জন্য হাসপাতালে যোগাযোগ করলে জানতে পারে তার ফোনে পাঠানো রিপোর্টের সাথে মিল আছে হাসপাতালের কাগজে। এই ঘটনায় তিনি যথেষ্ট চিন্তিত। শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে সুপার ডা: জয়ন্ত সরকার জানান তারা এই বিষয়টি জানতে পেরেছেকিন্তু তার দাবী এই ধরনের হবার কথা নয় তবুও কিভাবে হল তার তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও এই রিপোর্ট আসার পর স্থানীয়রদের দাবী যদি টেস্ট না করেই এই রিপোর্ট আসে তাহলে অন্যদের রিপোর্ট কতটা গুরুত্ব সহকারে হচ্ছে, তা দেখা উচিত প্রশাসনের।
Views: 1288